সৌদিতে বাংলাদেশ থেকে গমনকারীদের পাসপোর্টে যে কাজটি বাধ্যতামূলক করলো সৌদি সরকার!

প্রতিবছর বাংলদেশ থেকে ১ লাখের ওপরে লোকজন হ্জ পালন করে থাকে। প্রতিবছর এর ন্যয় এ বছর ও হজ করতে যাবে হজ পালনে ইচ্ছুককারীরা । এবছর নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ হজ পালনে যারা যাবে তাদের জন্য নতুন একটি আইন প্রনোয়ন করা হয়েছে।

সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গমনকারী হজযাত্রীদের পাসপোর্টে আবশ্যিকভাবে মক্কা ও মদিনার বাড়ির ঠিকানা সম্বলিত স্টীকার সংযোজন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই পাসপোর্টে মক্কা-মদিনার বাড়ির ঠিকানা সম্বলিত স্টীকার সংযোজন ব্যতিত হজযাত্রী প্রেরণ করা যাবে না।

বুধবার (২০ জুন) হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম এ কথা জানান। এ সংক্রান্ত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে হজ অফিস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই হজযাত্রীদের পাসপোর্টে মক্কা ও মদিনার বাড়ির ঠিকানা সম্বলিত স্টীকার সংযোজনপূর্বক ভিসার আবেদন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পাসপোর্টে মক্কা-মদিনার বাড়ির ঠিকানা সম্বলিত স্টীকার সংযোজন ব্যতিত হজযাত্রী প্রেরণ করা যাবে না।

এ বিষয়ে সৌদি আরবের হজ কাউন্সেলের মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও সংযোজন করা হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ (১৪৩৯) হজ মৌসুমে অন্যসব দেশের ন্যায় বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের পাসপোর্টে মক্কা-মদিনার বাড়ীর ঠিকানা সম্বলিত স্টীকার লাগানো বাধ্যতামূলক। স্টীকার ব্যতিত কোনো হজযাত্রী জেদ্দা কিংবা মদিনা বিমান বন্দরে আগমন করলে তাদের মক্কা ও মদিনার বাড়ি কিংবা হোটেলে যাওয়া অনিশ্চিত হবে।

কারণ, এ বছর জেদ্দা অথবা মদিনা বিমান বন্দর থেকে হজযাত্রীদের মোয়াল্লেম অফিসে প্রেরণ না করে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বাড়ি অথবা হোটেলে প্রেরণ করা হবে। অল্প সময়ের মধ্যে আল্লাহর ঘরের মেহমানদের বিমানবন্দর থেকে তাদের নির্ধারিত আবাসস্থলে প্রেরণের জন্য এ স্টীকার সংযোগ করা বাধ্যতামূলক।

নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে সৌদি আরবে গমনকারী হজযাত্রীরা আবাসন নিয়ে সঙ্কটে থাকবেন না। হজ এজেন্সি কর্তৃপক্ষও হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার সুযোগ কম পাবেন।

২০১৮ সালের হজযাত্রী নির্ধারণ ও হজ পালনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে রাজকীয় সৌদি সরকারের একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি গত ১৪ জানুয়ারি মক্কায় সম্পন্ন হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ বাংলাদেশি হজ পালন করতে পারবেন।